কাঠের আসবাব প্রজন্মজুড়ে ব্যবহারযোগ্য—শর্ত একটাই: সঠিক যত্ন। ভুল পরিষ্কার-পদ্ধতি, সূর্যের আলো বা আর্দ্রতা খুব দ্রুত কাঠের রং, প্রলেপ ও গঠন নষ্ট করে। কয়েকটি সহজ অভ্যাসে আসবাব বহু বছর নতুনের মতো রাখা যায়।
১) কাঠকে ত্বকের মতো রক্ষা করুন
অন্দরসজ্জাবিদ গুলশান নাসরিনের মতে, কাঠকে অতিরিক্ত রোদ ও আর্দ্রতা থেকে বাঁচাতে হবে।
– সূর্যের সরাসরি আলো পড়বে না—পর্দা বা সানফিল্টার ব্যবহার করুন।
– আর্দ্র জায়গায় কাঠ ফুলে যায়, বাঁকে—তাই ভেজা দেয়াল/মেঝে এড়িয়ে রাখুন।
২) প্রতিদিনের ব্যবহারে ছোট সতর্কতা
– চেয়ার–টেবিলের নিচে ফেল্ট/প্যাড দিন—আঁচড় কমবে।
– গরম খাবার সবসময় প্যাডে রাখুন।
– ঠাণ্ডা গ্লাসের নিচে কোস্টার ব্যবহার করুন।
– পানি ছিটে গেলে সঙ্গে সঙ্গে মুছুন।
৩) কোমল ক্লিনার—কড়া রাসায়নিক নয়
– ১ লিটার পানিতে কয়েক ফোঁটা ডিশওয়াশ মিশিয়ে নরম কাপড়ে মুছুন।
– জেদি দাগে সামান্য সাদা ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন।
– অ্যামোনিয়া/ব্লিচ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ—প্রলেপ স্থায়ীভাবে নষ্ট করে।
৪) ড্রয়ার–আলমারি অতিরিক্ত বোঝাই করবেন না
ড্রয়ারে বেশি ওজন দিলে কাঠ ও জয়েন্ট দুর্বল হয়।
– মাঝারি ওজন রাখুন।
– দরজা/ড্রয়ার ধীরে বন্ধ করুন।
– ভালো স্লাইডার থাকলে আয়ু বাড়ে।
৫) দ্রুত পরিষ্কার—ঘষাঘষি নয়
ধুলো জমলে হালকা ভেজা কাপড়, তারপর শুকনো কাপড়।
জোরে ঘষলে প্রলেপ উঠে যায়।
৬) পোকা–আর্দ্রতা পর্যবেক্ষণ
কাঠে ছোট গর্ত, গুঁড়া বা গন্ধ পেলে দ্রুত টারমাইট ট্রিটমেন্ট করান।
৭) কাঠ বয়সে সুন্দর হয়—এটা গ্রহণ করুন
সলিড কাঠের আসবাব বয়সের সঙ্গে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা পায়।
ছোট আঁচড় কাঠের চরিত্র—ক্ষতি নয়। প্রয়োজনে স্যান্ডিং ও নতুন ফিনিশিং দিলে আগের মতো হয়ে যায়।