মাসের পর মাস জমে থাকা প্যাকেট, নামহীন কৌটা, বরফে ঢেকে যাওয়া খাবার—সব মিলিয়ে ফ্রিজ দ্রুত বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে। এর ফলে নতুন খাবার রাখার জায়গা কমে যায়, আবার পুরোনো খাবারের গন্ধে ভালো খাবারও নষ্ট হয়। সঠিক পরিকল্পনা ও রুটিন মানলে ফ্রিজ সহজেই পরিষ্কার ও ব্যবহারযোগ্য রাখা যায়।
নামহীন খাবার—ঝুঁকিই বেশি
ফ্রিজারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে নাম–তারিখ ছাড়া রাখা কৌটা। কোনটাতে মাংস, কোনটাতে ভাত—অনেক সময়ই বোঝা যায় না।
গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সহকারী অধ্যাপক তাসমিয়া জান্নাত বলেন, এ ধরনের খাবার সরাসরি ফেলে দেওয়াই নিরাপদ।
রান্না করা খাবার ৩ মাস, কাঁচা মাংস/সবজি ৬–১২ মাস ভালো থাকে—শর্ত হলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও তারিখ লেখা।
মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার জমাট থাকলেও নিরাপদ নয়
ফ্রিজে রাখলেই খাবার অনির্দিষ্টকাল ভালো থাকবে—এ ধারণা ভুল। বরফের আস্তরণে ঢেকে যাওয়া বা দীর্ঘদিন পড়ে থাকা খাবারের স্বাদ ও গুণগত মান নষ্ট হয়।
ফ্রিজ পরিষ্কারের শুরু হওয়া উচিত পুরো ফ্রিজার খালি করে মেয়াদ যাচাই দিয়ে। পুরোনো খাবার সামনে রাখলে আগে ব্যবহার হয়।
ফ্রিজারের কোণে জমে থাকা “শেষ চামচ”-গুলো বাদ দিন
এক চামচ আইসক্রিম, একটু মিষ্টি—এগুলোই জায়গা দখল করে। যেহেতু এগুলো সাধারণত কেউ খায় না, তাই ফেলে দেওয়া বা দ্রুত শেষ করাই শ্রেয়।
অতিরিক্ত কেনা খাবার—ব্যবহার পরিকল্পনা জরুরি
সব কিছু ফেলে দেওয়াই সমাধান নয়। বড় ব্যাগভর্তি ফ্রোজেন সবজি পড়ে থাকলে তা দিয়ে স্যুপ, খিচুড়ি বা পাস্তা বানিয়ে ব্যবহার করা যায়। পরিকল্পনার অভাবেই এগুলো ফ্রিজে জায়গা আটকে রাখে।
খাবার ছাড়া বাকি জিনিস—জেল প্যাক/ঠাণ্ডা প্যাক চেক করুন
বরফ প্যাক, জেল–প্যাক নিয়মিত পরীক্ষা করা দরকার। ছিঁড়ে যাওয়া বা আকার হারানো প্যাক ফেলে দিন। এক–দুই সেট ভালো প্যাক রাখা যথেষ্ট।
সংরক্ষণ পাত্র—পুরোনো হলে বদলে ফেলুন
ভাঙা, ঢাকনা নরম, ঠিকমতো সিল না হওয়া পাত্র জায়গা নষ্ট করে এবং খাবার খারাপ করে। টেকসই নতুন পাত্র শুধু খাবার ভালো রাখে না, ফ্রিজকেও পরিচ্ছন্ন দেখায়।