শীতের শুরুতেই বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় হাত–পায়ের ত্বক দ্রুত শুকিয়ে যায়। যারা বেশি সময় বাইরে থাকেন, পানি দিয়ে নিয়মিত কাজ করেন বা যাদের ত্বক স্বভাবতই শুষ্ক—তাদের ক্ষেত্রে চামড়া ওঠা, খোসা পড়া ও ফাটাভাব বেশি দেখা দেয়।
রূপবিশেষজ্ঞদের মতে, ঘন ঘন সাবান ব্যবহার, গরম পানিতে হাত–পা ধোয়া, হাত ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজার না লাগানো এবং একজিমা বা অ্যালার্জির সমস্যা শুষ্কতা আরও বাড়িয়ে তোলে।
যত্ন যেভাবে নেবেন
-
হাত ধোয়ার পরই ময়েশ্চারাইজার লাগান। হায়ালুরনিক অ্যাসিড, গ্লিসারিন বা শিয়া বাটারযুক্ত ক্রিম আর্দ্রতা ধরে রাখতে কার্যকর।
-
রাতে ঘন টেক্সচারের ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে সুতির মোজা পরে ঘুমালে দ্রুত উপকার মেলে।
-
গরম পানি নয়—কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন।
-
মাইল্ড, সুগন্ধিবিহীন বা সালফেট–ফ্রি হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করুন।
-
গোড়ালি ফাটলে পা ভিজিয়ে মৃত কোষ পরিষ্কার করে ঘন ক্রিম লাগাতে পারেন; ব্যথা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ভেতর থেকেও যত্ন প্রয়োজন
ওমেগা–থ্রি সমৃদ্ধ খাবার—চিয়া সিড, আখরোট, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ—ত্বকের প্রাকৃতিক তেল বজায় রাখে।
শীতে তৃষ্ণা কম লাগে বলে পানি গ্রহণ বাড়ানো জরুরি। ভিটামিন–ই ও ভিটামিন–সি সমৃদ্ধ খাবার ত্বকের আর্দ্রতা ও কোলাজেন শক্ত রাখে।
বাইরে গেলে সুরক্ষা
ধুলাবালির কারণে ত্বক আরও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই বাইরে বেশি সময় থাকলে হ্যান্ডগ্লাভস, আর পায়ে ঢাকা জুতো ব্যবহার করা উচিত। বাইকচালকদের জন্য গ্লাভস অপরিহার্য।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেন—চামড়া উঠলে জোরে ঘষাঘষি করা ঠিক নয়। এতে সংক্রমণ, ব্যথা এবং লালচেভাব বাড়ে।