মার্জারের প্রক্রিয়ায় থাকা শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও বিভিন্ন সুবিধা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছেন প্রশাসকরা। আর্থিক সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো হলো—এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। ১৬ হাজার কর্মী থাকা এসব ব্যাংকের বেতন ও পরিচালন ব্যয় সামাল দিতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক ৩৫০ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে বেতন-ভাতা কমানোর চিন্তা চলছে। তার ভাষায়, “এখন মূল বিষয় খরচ কমানো—বেতন কত কমলো সেটা নয়, চাকরি টিকে থাকাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
নতুন ব্যাংক দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজস্ব পেমেন্ট স্ট্রাকচার তৈরি করবে। এর আগে পর্যন্ত পাঁচ ব্যাংকের জন্য একীভূত বেতন-কাঠামোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সময়সীমা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
বর্তমানে প্রতিটি ব্যাংক আলাদা বেতন কাঠামো অনুসরণ করে, ফলে একই পদের কর্মকর্তাদের বেতনও ভিন্ন। পরিচালন ব্যয় কমাতে এখন সব ব্যাংকের একই পদের কর্মীদের জন্য সমন্বিত কাঠামো নির্ধারণে কাজ চলছে।
সরকার ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ নামে একটি নতুন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক গঠন করছে, যা এই পাঁচ ব্যাংকের দায়িত্ব নেবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে এ প্রতিষ্ঠানের জন্য লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) দিয়েছে। এর আগে ৫ নভেম্বর পাঁচ ব্যাংকের সব শেয়ার শূন্য ঘোষণা এবং বোর্ড–এমডি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়।
৩৫ হাজার কোটি টাকার মূলধন নিয়ে গঠিত নতুন ব্যাংকের ২০ হাজার কোটি দেবে সরকার। বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হলে ধাপে ধাপে পাঁচ ব্যাংক আত্মীকরণ হবে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের অধীনে।