গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ৭০ হাজার ১০০ জনে পৌঁছেছে। শনিবার প্রকাশিত হিসাব অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে আরও ৩০১ জনের মৃত্যু যোগ হয়েছে—যাদের মধ্যে দুজন সাম্প্রতিক হামলায় নিহত, বাকিরা ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা মৃতদেহের অবশিষ্টাংশ থেকে শনাক্ত।
নতুন এই পরিসংখ্যান বিষয়ে ইসরায়েল কোনো মন্তব্য করেনি। গাজা কর্তৃপক্ষের মৃত্যুহারের নির্ভুলতা নিয়ে ইসরায়েল নিয়মিত প্রশ্ন তোলে, যদিও তারা নিজেদের কোনো বিকল্প হিসাব প্রকাশ করেনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পরই শুরু হয় গাজার বিরুদ্ধে দুই বছরের ধারাবাহিক সামরিক অভিযান। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা অবস্থায় শনাক্ত করা যায়নি; প্রথমদিকে হাসপাতাল-ভিত্তিক গণনা করা হলেও পরে ফরেনসিক ও মেডিকেল পরীক্ষা শেষে তথ্য নথিবদ্ধ করা হয়।
চলতি বছরের ১০ অক্টোবর নড়বড়ে যুদ্ধবিরতির পর গাজা কর্তৃপক্ষ ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা মৃতদেহ উদ্ধার ও শনাক্তের কাজ ত্বরান্বিত করে—ফলে প্রকাশিত সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে।
রয়টার্সকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যুদ্ধের আগেও গাজার জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্য-ডেটা ব্যবস্থাপনা মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে তুলনামূলকভাবে উন্নত ছিল। জাতিসংঘ বহুবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য উদ্ধৃত করে সেগুলোকে বিশ্বাসযোগ্য বলেছে।