ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘১০০ কোটি টাকা ঘুষ’ দেওয়ার অভিযোগে ট্রান্সকম গ্রুপের সিইও সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে একজন উপপরিচালককে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং তিনি ইতোমধ্যে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন বলে সংস্থার একটি সূত্র জানিয়েছে।
দুদক বলছে, সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে ‘হত্যা, শেয়ার জালিয়াতি ও প্রতারণা’ সংক্রান্ত মামলাগুলো ধামাচাপা দিতে তিনি শেখ হাসিনাকে ঘুষ দিয়েছেন—এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই অনুসন্ধান চলছে। প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব বা সম্পদ জব্দের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সিমিন রহমান বা ট্রান্সকমের কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য দেননি।
এর আগে প্লট দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মোট ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
অন্যদিকে, ট্রান্সকম গ্রুপেও পরিবারভিত্তিক ক্ষমতার দ্বন্দ্ব গত বছর প্রকাশ্যে আসে। ছোট মেয়ে শাযরেহ হক বড় বোন সিমিন রহমান, তার ছেলে এবং ট্রান্সকমের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বড় ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে হত্যাসহ চারটি মামলা করেছিলেন। এসব মামলার সূত্রে পিবিআই ট্রান্সকমের গুলশান অফিস থেকে বিভিন্ন নথি জব্দ করে।
ট্রান্সকমের চেয়ারম্যান এখন শাহনাজ রহমান; সিইও বড় মেয়ে সিমিন রহমান এবং পরিচালক হিসেবে আছেন ছোট মেয়ে শাযরেহ হক। নতুন ঘুষ অভিযোগ নিয়ে সংস্থার আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।