শীতের সময় সর্দি–কাশি, ঠাণ্ডা ও সংক্রমণ বাড়ে। তবে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনে সামান্য পরিবর্তন এনে এই মৌসুমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্ত রাখা সম্ভব—বলছেন পুষ্টিবিদরা।
প্রাইম হেলথ সারির পুষ্টিবিদ র্যাচেল ভ্যালিসের মতে, শীতে ছোটখাটো অসুস্থতা দ্রুত সামলে উঠতে হলে শরীরকে পুষ্টি ও বিশ্রামের মাধ্যমে ভেতর থেকে প্রস্তুত রাখতে হবে।
সুষম খাদ্য—ইমিউনিটি তৈরির মূলভিত্তি
রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন A, B6, B12, C, D এবং কপার, আয়রন, সেলেনিয়াম, জিঙ্কের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
ফল, সবজি, চর্বিহীন মাংস, গোটা শস্য, বাদাম, বীজ ও দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত খেলে এসব পুষ্টি সহজেই পাওয়া যায়।
ভিটামিন–D পূরণ অপরিহার্য
শীতে সূর্যালোক কম মেলায় ভিটামিন–D-এর ঘাটতি বাড়ে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ—প্রতিদিন ১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন–D সাপ্লিমেন্ট ঘাটতি পূরণে সহায়ক হতে পারে, বিশেষত যারা সারাদিন ঘরে থাকেন।
শক্তি বাড়াতে ক্যালরি যথেষ্ট হওয়া চাই
ইমিউনিটি শক্ত রাখতে পর্যাপ্ত শক্তি (ক্যালরি) দরকার।
বাদামি চাল, আলু, ডাল–মটর, মাছ–মাংস এবং ভালো চর্বি শরীরকে এই মৌসুমে প্রয়োজনীয় শক্তি দেয়।
ঘুম কমলে রোগ প্রতিরোধ কমে
শীতের ছুটির মৌসুমে ঘুমচক্র বিঘ্নিত হয় অনেকেরই।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ—রাতে নিয়মিত ও পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা না গেলে শরীর সংক্রমণের বিরুদ্ধে দুর্বল হয়ে পড়ে।
আর্দ্রতা ধরে রাখা জরুরি
শীতে অনেকেই উষ্ণ থাকতে অ্যালকোহল খান—যা শরীরকে আরও ডিহাইড্রেটেড করে।
যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান এবং শরীর আর্দ্র রাখা সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর।